সিলেট, জাফলং, রাতারগুল, বিছানাকান্দি

সিলেট হলো তিনশত ষাইট আউলিয়ার শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভুমি হচ্ছে আমাদের এই সিলেট। সুতরাং সিলেট ভ্রমণ হতে পারে ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের প্রথম পছন্দ। সবাই বলেন একটু ঘুরাঘুরি করলে নাকি মানুষের মন প্রানবন্ত হয় । তো চলুন আজকে ঢাকা থেকে সিলেট ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করি।

বাসযোগে
প্রতিদিন ঢাকার ফকিরাপুল, গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী, আব্দুল্লাপুর, রাজারবাগ, সাইন্সল্যাব থেকে অসংখ্য এসি/নন-এসি বাস ছেড়ে যায় সিলেট শহরের উদ্দেশে। অনলাইন অথবা কাউন্টার থেকে টিকেট কেটে নিতে পারবেন। ছুটির দিনের সময় যাত্রা করলে, কয়েকদিন আগেই টিকেট কেটা রাখা উচিত।

বাসের নাম বাসের ধরন ভাড়া (টাকা) যোগাযোগ
গ্রীণলাইন পরিবহন এসি ১০০০-১২০০ বিস্তারিত
হানিফ এন্টারপ্রাইজ ননএসি/ ৬২০ বিস্তারিত
এনা ট্রান্সপোর্ট ননএসি/এসি ৪৭০-১২০০ বিস্তারিত
শ্যামলী পরিবহন ননএসি / এসি ৬২০ / ১৫০০ বিস্তারিত
       

রেলযোগে
উপবন এক্সপ্রেসর্
পারাবত এক্সপ্রেস
জয়ন্তীকা
কালনী এক্সপ্রেস

ভাড়া শ্রেনীভেদে ৩২০ টাকা থেকে ১১৪৯ টাকা
বাংলাদেশ ট্রেনের ওয়েবসাইট অথবা এ্যাপ থেকে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন।

বিমানযোগে
ঢাকা থেকে প্রতিদিন ছয়টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা হয় সিলেটের উদ্দেশ্যে। আপনি স্ব স্ব এয়ারলাইন্সের অফিস থেকে টিকেট কিনতে পারবেন। এছাড়াও তাদের ওয়েবসাইটে থেকে টিকেট ক্রয় করতে পারবেন। গুগলে সার্চ দিলেই তাদের ওয়েবসাইট লিংক পেয়ে যাবেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
ইএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
নোভোএয়ার

সিলেটের ইতিহাস

বর্তমান সিলেটের পূর্বনাম ছিল শ্রীহট্ট।
চতুর্দশ শতাব্দীতে শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহ

সিলেট গিয়ে যা যা দেখবেন

জাফলং: প্রকৃতির কণ্যা বলে ডাকা হয় এই জাফলংকে। যদিও তার বেশির ভাগ সৌন্দর্য ভাতরের সীমানার মধ্যে পরেছে। তারপরও এটি সিলেট ভ্রমণের মূল আর্কষন। সিলেট শহর থেকে জাফলং এর দুরত্ব প্রায় ৫৫.৬ কি.মি। যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা ৪৮ মিনিট।

জিতু ‍মিয়ার বাড়ী: নগরীর শেঝঘাটে কাজীর বাজারের দক্ষিণ পাশে ১.৩৬৫ একর জমির উপর স্থাপিত ঐতিহ্যবাহী জিতু মিয়ার বাড়ী। এটি নির্মাণ করেন খান বাহাদুর আবু নছর মোহাম্মাদ এহিয়া ওরফে জিতু মিয়া।

ক্বীনব্রীজ: কালের স্বাক্ষী হয়ে নগরীর সুরমা নদীর উপর আজও দাড়িয়ে রয়েছে ক্বীনব্রীজ। ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করলে এই ব্রীজ সম্মদে জানা যায়। তিরিশ দশকের দিকে আসাম প্রদেশের গভর্ণর ছিলেন মাইকেল ক্বীন। তার এই ভ্রমণ স্মৃতিকে সরনীয় করতে রাখতে ব্রীজটি তৈরীকরা হয়।

আলী আমজাদের ঘড়ি: মৌলভী বাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশার জমিদার আলী আমজাদ ১৮৭৪ সালে এই ঘড়িটি ক্বীন ব্রীজের পাশে তৈরী করেন।

সিলেট মণিপুরি মিউজিয়াম: নগরীর সুবিদবাজারে মিউজিয়াটির অবস্থান।

মনিপুরী রাজবাড়ী: সিলেট শহরের মির্জাজাঙ্গালে অবস্থিত মনিপুরী রাজবাড়ী। তৎকালীন মনিপুরী রাজ্যের তিন ভ্রাতা রাজা চৌর্জিৎ সিং, মার্জিত সিং ও গম্ভীর সিং রাজবাড়ীটি তৈরী করেন।

হাকালুকি হাওর: এটি মাছ আহরনের জন্য বিশাল একটি কেন্দ্র এবং শীতের সময় হাজার হাজার অতিথী পাখি আসে এখানে। হাকালুকি হাওরটি  বড়লেখা, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা জুড়ে বিত্সিত্।

মালনীছড়া চা বাগান: বিশাল জায়গা জুড়ে ছোট-বড় টিলা নিয়ে গড়ে উঠেছে মালনীছড়া চা বাগান। নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে গাড়ীতে পাচ মিনিটের পথ। ১৮৫৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম চা চাষের গোড়াপত্তন এখানেই হয়।

চায়ের শহর সিলেট