মধুটিলা ইকোপার্ক শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ বন বিভাগের অধীনে ভারতীয় সীমান্তের কোল ঘেষে ৩৮৩ একর জায়গাজুড়ে এই বনকে পরিবেশ-উদ্যান বা ইকোপার্ক হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। প্রকৃতির মন ভুলানো সৌন্দয্য উপভোগ করার জন্য মধুটিলা ইকোপার্ক এ রয়েছে সাইটভিউ টাওয়ার। এছাড়াও সুবিশাল লেক, লেকে ঘুড়ে বেড়ানোর জন্য প্যাডেল বোট, স্টার ব্রিজ, একটি মিনি চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক, রেস্টহাউস সহ নানান নান্দনিক স্থাপনা। এখানে রয়েছে নানান ঔষধি গাছ, সৌন্দর্যবর্ধক বাহারি গাছ-গাছালি, ফুল গাছ।

ঢাকা থেকে কিভাবে মধুটিলা ইকোপার্ক যাওয়া যায়

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহয়তায় ফিডার রোড নির্মিত হওয়ার পর ঢাকার সাথে শেরপুর জেলা যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হয়েছে। ঢাকা থেকে শেরপুরের দুরত্ব আনুমানিক ১৯৪ কিলোমিটার এবং যেতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা। শেরপুর সদর থেকে মধুটিলা ইকোপার্ক  টির দুরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। প্রতিদিন ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড অথবা গুলিস্তান থেকে সরাসরি বাস চলাচল করে শেরপুরের উদ্যেশে । শেরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে নালিতাবাড়ীর নন্নী বাজার পর্যন্ত নিয়মিত লোকাল বাস সার্ভিস রয়েছে। নন্নী বাজার থেকে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ভাড়া মধুটিলা ইকোপার্ক যাওয়া যায়। অথবা ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি নালিতাবাড়ী পর্যন্ত গেটলক সার্ভিস রয়েছে। জনপ্রতি ভাড়া ৩০০ টাকা। নালিতাবাড়ী থেকে অটোরিকশা, মোটরসাইকেলে ২০-২৫ মিনিটে মধুটিলায় যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে দিনে এসে দিনেই ফিরে যাওয়া যায়।

গাড়ির নাম ফোন নম্বর এসি/ননএসি
সোনার বাংলা ০১৭৭১-৫৫০০২০ ননএসি
সাদিকা -১ ০১৭১২-১১৯১৮১ ননএসি
সাদিকা-২ ০১৭৩৬-৯৯০১৬১ ননএসি
এসএ ট্রাভেল-২ ০১৭২৪-১৯১১১৮ ননএসি
এসি ডিলাক্স ০১৭২৯-৫৯২২৯৪ এসি
মুন রাজ-২ ০১৭৫৫-৪১৮১৪৩ ননএসি
এসি সুপার ০১৭২৯-৫৯২২৯৪ এসি

কোথায় রাতে থাকবেন

সারাদিন ঘুরাঘুরি শেষে চলে আসুন শেরপুর শহরে এবং এখানে আপনি থাকার জন্য অনেক আবাসিক হোটেল পাবেন। যেমন: হোটেল আরাফাত  ০৯৩১-৬১২১৭, কাকলি গেষ্ট হাউজ ০৯৩১-৬১২০৬,  বর্ণালী গেষ্ট হাউজ – ০৯৩১-৬১৫৭৫, হোটেল সম্পদ ০৯৩১-৬১৭৭৬

কি খাওয়া-দাওয়া করবেন

শেরপুর জেলা শহরে সকালের নাস্তায় শহরের প্রিন্স হোটেলের ভুনা খিচুরি খেতে পারেন। নিউ মার্কেটে হোটেল শাহজাহান, শাহী খানা খাজানা, বাগান বাড়ি রেস্টুরেন্ট, হোটেল আহার । নয়ানী বাজার গোয়ালপট্টি থেকে নন্দগোপালের মালাইকারির মিষ্টি, দই, রসমালাই এবং রাজ বল্লভের জিলাপি খেয়ে দেখতে পারেন।