জ্বীনের মসজিদ নামে পরিচিত প্রাচীন এই মসজিদটি লক্ষীপুর জেলার রায়পুরে অবস্থিত। ধারনা করা হয় 1888 শেষ দিকে এটি নির্মাণ করা হয়। এটি এলাকার মানুষদের কাছে মৌলভী সাহেবের মজসিদ নামেও পরিচিত।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মাওলানা আবদুল্লাহ রায়পুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জম্মগ্রঞণ করেন। তিনি লক্ষীপুরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে উচ্চ ধর্মীয় শিক্ষা লাভের জন্য ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এবং সুর্দীঘ 17 বছর ধরে পরাশোনা শেষে উচ্চতর জ্ঞান ও দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত হন। পরাশোনা শেষ করে দেশে ফেরার সময় কিছুদিন দিল্লিতে অবস্থান নেন। এসময় দিল্লীর শাহী মসজিদের নির্মাণ শৈলী তাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে। এবং লক্ষীপুরে ফিরেই এরকম একটি মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছা পোষণ করেন। সেই ইচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দিথে সামনের দিকে অগ্রসর হন।
ভারতের দিল্লীর শাহী জামে মসজিদের নকশাকে অনুকরণ করে নির্মিত হয় মসজিদটি। যা 110 ফুট দৈর্ঘ্য ও 70 ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এবং জমি হইতে 10 ফুট উচুতে নির্মিত। মসজিদের সামনের দিকে রয়েছে 25 ফুট উচ্চতার তিনটি গম্বুজ।
কিভাবে যাবেন জ্বীনের মসজিদ
লক্ষীপুর জেলার রাজধানী ঢাকা ও দেশের বানিজ্যের রাজধানী নামে খ্যাত চট্টগ্রাম বিভাগের সরাসরি যোগাযোগ বয়েছে। রাজধানী ঢাকার সাথে ঢাকা-রায়পুর-লক্ষীপুর, ঢাকা-রামগঞ্জ, ঢাকা রামগতি নিম্ম বাসগুলো চলাচল করে।
বাসের নাম | বাসের ধরন | ভাড়া (টাকা) | যোগাযোগ |
ইকোনো সার্ভিস | ননএসি | 350 | বিস্তারিত |
ঢাকা এক্সপ্রেস | ননএসি | 350 | বিস্তারিত |
জোনাকী সার্ভিস | ননএসি | 250 | বিস্তারিত |
লক্ষীপুর জেলা শহর থেকে জ্বীনের মসজিদের দূরত্ব প্রায় 21 কিলোমিটার। সুতরাং জেলা শহরে পৌছানোর পর সিএনজি, অটোরিক্সা এবং লোকাল বাসযোগে যেতে পারবেন ঐতিহাসিক এই জ্বীনের মসজিদ। এছাড়াও রায়পুর বাসষ্ট্যান্ড থেকে সিএনজিতে যাওয়া যায়।
Leave a Reply