ঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি জেলা। এটি বরিশাল বিভাগের অর্ন্তগত। ঝালকাঠি পূর্বে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি একসময় ইউরোপীয় বনীকদের মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। যাহার দরুন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসি বনিকরা বিভিন্ন সময় এখানে এসে ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। ঝালকাঠিকে একসময় দ্বিতীয় কোলকাতা নামেও অবহিত করা হতো। সমৃদ্ধ ঝালকাঠি জেলা দর্শনীয় স্থান সমুহ নিচে দেওয়া হলো।

ভাসমান পেয়ারা বাজার

ঝালকাঠি জেলার ভিমরুলিতে বসে এই ভাসমান বাজার (Floating Market)। সারা বছর জুড়ে এই ভাসমান বাজারটি চলমান থাকে কিন্তু পেয়ারার মৌসুম এলে এটি প্রান ফিরে পায়। ভিমরুলির ভাসমান হাট বসে তিন খালের মোহনায়। প্রশস্ত এই মোহনায় চাষিরা নৌকা বোজাই ফল নিয়ে আসে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার জন্য। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রেতা ও দর্শনাথী ছুটে আসেন এই ভাসমান বাজারে।

গাবখান সেতু

গাবখান সেতু (5th Bangladesh-China Friendship Bridge) তার নির্মাণশৈলীর কারনে দেশের অন্যান্য সেতু থেকে আলাদা এবং দর্শনাথী ও স্থানীয়দের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। গাবখান চ্যানেলটি কিন্তু কৃত্রিম নৌপথ, যাহা বাংলার সুয়েজখান নামেও পরিচিত।

কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি

মুঘল শাসনামল থেকে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত জমিদারি প্রথা চালু ছিল। তবে বর্তমানে সেই জমিদারি প্রথা আর নেই। কিন্তু কালের স্বাক্ষি হয়ে আজও দাড়িয়ে রয়েছে তাদের তৈরী করা কীর্ত্তিপাশা জমিদার বাড়ি ঝালকাঠি সদর থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজা রাম সেনগুপ্ত উনিশ শতকের দিকে এই বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন।

সুজাবাদ কেল্লা

১৬৫৪ সাথে শাহজাদা সুজা মগ জলদস্যুদের দমন এবং তাদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সুজাবাদ কেল্লা দুটি নির্মাণ করেন। যাহা অন্দর এবং বাইর কেল্লা নামে পরিচিত ছিল।

সাতুরিয়া  জমিদার বাড়ি

সাতুরিয়া জমিদার বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় অবস্থিত। বাংলার বাঘ খ্যাত শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হক এই বাড়িতে জম্মগ্রহন করেন।

এছাড়াও ভ্রমণ করার জন্য রয়েছে ঘোষাল রাজবাড়ী, মাদাবর মসজিদ, সুরিচোরা জামে মসজিদ, নেছারাবাদ মাদ্রাসা, শের-ই বাংলা ফজলুল হক ডিগ্রি কলেজ ইত্যাদি

 

আরও পড়ুন: গ্রীন লাইন পরিবহন; কাউন্টারের ঠিকানা ও ভাড়া